স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের আওতাভূক্ত পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশনের (পিডিবিএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জনাব মওদুদউর রশিদ সফদারের পদত্যাগ না করার দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন অত্র অফিসের সিংহভাগ কর্মী।
২০ আগস্ট, (মঙ্গলবার), ‘পিডিবিএফ-এমডি পদত্যাগ করছেন’- এমন গুজব ছড়িয়ে পড়লে, এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামেন অত্র অফিসের দেশব্যাপী জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সকল শাখায় কর্মরত হাজারো কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ। নিজ নিজ কার্যালয়ের সামনে এমডির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ এবং এমডি’র স্বপদে বহাল তবিয়তে থাকার দাবিতে মানববন্ধন করেন তাঁরা।
এসময় পিডিবিএফ-এর মাঠ পর্যায়ের একাধিক কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, জনাব মওদুদউর রশিদ সফদার গত ২০২০ সালের ২০ ডিসেম্বর পিডিবিএফ এর এমডি পদে প্রথম মেয়াদে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই অফিসে তৎকালীন চলমান বিভিন্ন অনিয়ম, দূর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেন। দেশের অর্থনীতি কোভিড মহামারীতে বিধ্বস্ত থাকলেও অত্যন্ত সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন পূর্বক অত্র প্রতিষ্ঠানকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করেন তিনি। উক্ত ক্রান্তিকালে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে করোনা আক্রান্ত হোন তিনি নিজেও।
এছাড়া, দারিদ্র্য দূরীকরণের লক্ষ্যে সরকারের নিকট হতে ৩০০ কোটি টাকা প্রণোদনা প্যাকেজ ঋণ গ্রহণ করে সফলতার সহিত তা পরিচালনা করেন তিনি এবং সম্প্রতি পিডিবিএফের কার্যক্রম সারা দেশে বিস্তারের লক্ষ্যে তিনি ১৩৫ টি উপজেলায় সম্প্রসারন-২ প্রকল্প’র কাজ ইতোমধ্যে শুরু করেছেন।
নিষ্ঠা ও সততার পুরস্কার স্বরূপ গত দু বছরে পরপর ২ বার শুদ্ধাচার শ্রেষ্ঠ পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি। পিডিবিএফ বোর্ড অব গভর্নর্সর তাঁর কাজে সন্তুষ্ট হয়ে পরবর্তী ৩ বছরের জন্য পুনরায় তাঁকে এমডি পদে নিয়োগ সুপারিশ করেন। গত ২১ ডিসেম্বর, ২০২৩ তারিখে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালন শুরু করেন তিনি।
এদিকে, প্রতিষ্ঠানকে সুশৃঙ্খল করার লক্ষ্যে দৃঢ়চিত্তে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পিডিবিএফের তৎকালীন কয়েকজন প্রভাবশালী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়ম, দূর্নীতি ও বদলী এবং পদায়ন বাণিজ্যের অভিযোগে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক শাস্তি প্রদান করেন তিনি। ফলত শুরু থেকেই স্বার্থান্বেষী একটি মহলের চোখের বিষে পরিণত হোন জনাব সফদার।
পিডিবিএফ এর একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই প্রতিবেদককে জানান, “এমডি সফদার সাহেব অত্যন্ত মিষ্টভাষী, সৎ এবং সজ্জন ব্যক্তি। ব্যক্তিগতভাবে তিনি কখনোই কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হোন নাই বলেই আমরা সবাই অবগত। স্বীয় দায়িত্ব পালনেই তিনি সর্বদা সচেষ্ট থাকেন। কিন্তু, কুচক্রী একটি মহল প্রথম দিন থেকেই স্যারের পিছু নিয়েছিলো।”
এই কর্মকর্তা বলেন, “সাবেক প্রধামন্ত্রীর পিএস, স্হানীয় সরকার সচিব ও তথ্য কমিশনের চেয়ারম্যান জনাব মোঃ আঃ মালেক মহোদয়ের ভায়রাভাই পিডিবিএফের সাবেক পরিচালক ও পিডিবিএফের বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি জনাব আমিনুল ইসলাম স্যার একাধারে পিডিবিএফের ৫টি সোলার প্রকল্পের পিডি ছিলেন। এসময় তিনি নিজের ও তাঁর স্ত্রীর নামে আলাদা কোম্পানি খুলে সোলার ব্যবসা করে পিডিবিএফ হতে প্রায় ১০ কোটি টাকার দূনীর্তি করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। শোনা যায়, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে প্রকল্পের টাকা ওয়াইফের ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করেন তিনি।”
এই কর্মকর্তা আরও বলেন, “পিডিবিএফ এর প্রভাবশালী কর্মকর্তা ছিলেন সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলকের আত্মীয় ও পিডিবিএফ বঙ্গবন্ধু পরি়ষদের যুগ্মসম্পাদক জনাব মোঃ মনারুল ইসলাম। তিনিও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে প্রকল্পের পিডি থাকাবস্হায় প্রায় ৩০- ৪০ কোটি টাকা আত্মসাত করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। আমিনুল ইসলামের মতো তিনিও নিজের ও আত্মীয়ের ব্যাংক হিসাবে টাকা স্থানান্তর করেন। উভয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটের রিপোর্ট ও জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই তদন্ত প্রতিবেদনে যথাক্রমে ৪৫ কোটি ও ২৫ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ উল্লেখ করে। ফলত, তাদের বিরুদ্ধ দূর্নীতি দমন কমিশন ও মন্ত্রনালয়ে প্রতিবেদন দাখিল পূর্বক আইনত ব্যবস্হা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করেন এমডি জনাব সফদার সাহেব।”
পরবর্তীতে পূর্বোক্ত কর্মকর্তাদ্বয়ের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয় এবং তদন্ত সাপেক্ষে তাঁদের দোষী হওয়ার প্রমাণ পাওয়ায় উভয়কেই চাকুরী হতে বরখাস্ত করা হয়। এই দুই কর্মকর্তাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
সরেজমিনে জানা যায়, আমিনুল ও মনারুল গং এর ছত্রছায়ায় আরো বেশ কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারী বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত ও আত্মসাতের জন্য চাকুরীচ্যুত হয়েছেন। আরও বেশ কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারী ইতোমধ্যে দুর্নীতির দায়ে তদন্তের মুখে রয়েছেন। ফলত, নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে ও শাস্তি এড়াতে পিডিবিএফ এমডি’কে দায়িত্ব থেকে সরানোই তাদের কাছে একমাত্র বিকল্প হিসেবে ধরা দেয়।
এমতাবস্থায়, পিডিবিএফের সোলার কর্মী এবং চুক্তি ভিত্তিক ও দৈনিক ভিওিতে নিয়োগ পাওয়া কিছু লোককে আর্থিক সুবিধা দিয়ে ও প্রলোভন দেখিয়ে দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অফিসের অভ্যন্তরে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করে যাচ্ছে বিতাড়িত ও চাকরিচ্যুত মহলটি। আর এজন্যই মূলত এমডি জনাব মওদুদউর রশিদ সফদারের পদত্যাগ ঠেকানোর দাবিতে উত্তাল ও রুদ্ররূপ হয়ে উঠেছেন পিডিবিএফ এর সর্বস্তরের কর্মীবৃন্দ। তবে জনাব সফদার অফিসে শৃঙ্খলা ও কর্ম পরিবেশ বজায় রাখতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এক নজরে জনাব সফদারের কর্মকালের সারসংক্ষেপ:
জনাব মুহম্মদ মউদুদউর রশীদ সফদার গত ২১ শে ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন (পিডিবিএফ)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে যোগদান করেছেন। তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের একজন সাবেক সচিব এবং বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) এর প্রাক্তন মহাপরিচালক। ২০ শে ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে পিডিবিএফ বোর্ড অব গভর্নরসের সভায় তাঁকে পিডিবিএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়।
মুহম্মদ মউদুদউর রশীদ সফদার বর্ণাঢ্য শিক্ষা ও কর্মজীবনের অধিকারী। তিনি একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকের সিনিয়র অফিসারের দায়িত্ব ত্যাগ করে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগদান করেন। তিনি মেধাক্রম অনুযায়ী বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) ক্যাডারের ১৯৮৫ ব্যাচের একজন শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তা। ১৯৮৮ সনে সরকারী চাকুরীতে যোগদানের পর ঐ বছরই তিনি ভূমি সংস্কার কার্যক্রমে অনন্য অবদানের জন্য শ্র্রেষ্ঠ সহকারী কমিশনার (ম্যাজিস্ট্রেট) নির্বাচিত হন। তিনি দীর্ঘ ৩৫ বছর রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ছাড়াও মাঠপ্রশাসন, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠান এবং কূটনৈতিক মিশনে নীতি-নির্ধারণী পদে দায়িত্ব পালন করেন।
ইতোপূর্বে জনাব সফদার বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (বার্ড) এর মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া, তিনি বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন, পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (আরডিএ), বঙ্গবন্ধু দারিদ্র্য বিমোচন ও পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (বাপার্ড), জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট (এনআইএলজি), বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক , বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এবং ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশন (এসএফডিএফ)-এর গভর্নিং বোর্ড এবং বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস)-এর ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বিআরডিবি’র মহাপরিচালক হিসাবে পিডিবিএফ এর গভর্নিংবোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান এবং বার্ড এর গভর্নিং বোর্ডের সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (বার্ড) কর্তৃক প্রকাশিত The Journal of Rural Development (ISSN 1019-0341) এর সম্পাদনা পর্ষদের সভাপতি এবং বার্ষিক বাংলা জার্নাল “পল্লী উন্নয়ন” –এর সম্পাদনা পর্ষদের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
জনাব সফদার বর্তমানে জয়িতা ফাউন্ডেশন ও কিশোরগঞ্জ দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের সম্মানিত পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
জনাব সফদার ২০১৭ সালে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সমন্বিত পল্লী উন্নয়ন কেন্দ্র (সিরডাপ)-এর টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারপার্সন এবং আফ্রিকান-এশিয়ান পল্লী উন্নয়ন সংস্থা (AARDO)-এর টেকনিক্যাল প্রোগ্রাম কমিটির কো-চেয়ার নির্বাচিত হন।
১৯৯৫-১৯৯৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থিত জাতিসংঘের প্রধান কার্যালয়ে UN Efficiency Board-এ বিশেষজ্ঞ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সময় দক্ষতা মূল্যায়ন এবং জাতিসংঘের সংস্কার ও পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় বিশেষ অবদানের জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব এর Recognition of Pin লাভ করেন।
জনাব সফদার কূটনীতিক হিসেবে ইউরোপেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশন-এর অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক উইং এর প্রধান হিসেবে কার্যক্রম করেন। উল্লেখ্য যে, এ মিশনের এক্রেডিটেশনের আওতায় বেলজিয়াম ছাড়াও অন্তর্ভুক্ত ছিল সুইজারল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ২০০৩-২০০৮ সালে এ মিশনে তাঁর দায়িত্ব পালন কালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে সর্বোচ্চ মাত্রায় বৈদেশিক সহায়তা, রপ্তানি আয় এবং বাণিজ্য সংক্রান্ত কারিগরি সহায়তা (টিআরটিএ) আহরিত হয়।
তিনি যুক্তরাষ্ট্রের University of Minnesota থেকে সর্বোচ্চ ডিস্টিংশন-(Summa Cum Laude) সহ Liberal Studies-এ এমএলএস ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৯৫ সালে তিনি University of California এবং ১৯৯৫-১৯৯৬ সালে তিনি University of Minnesota-এর Hubert H. Humphrey (Fulbright) ফেলো ছিলেন। ফেলো হিসাবে অসামান্য একাডেমিক অর্জনের জন্য তিনি এ বিশ্ববিদ্যালয় হতে যথাক্রমে California Gold এবং আরেকটি Summa Cum Laude লাভ করেন। জনাব সফদার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮১ সালে লোক প্রশাসনে সম্মান সহ স্নাতক এবং ১৯৮২ সালে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। এছাড়া, তিনি ১৯৮৮ সালে ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষায় ‘‘Scholastic Distinction’’ লাভ করেন। তিনি VrijeUniversitietBrussel (VUB) –এর রিসার্চ ও টিচিং ফেলো, সুইডেনের ইউনিভার্সিটি অব বোরাসে ইউএনসিআরডি’র ফেলো এবং Korean Development Institute (KDI) -এ এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের লিডারশিপ ফেলো হিসেবে বিভিন্ন একাডেমিক ও প্রফেশনাল প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেন।
জনাব সফদার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বিপিএটিসি, আরপিএটিসি, এনএপিডি, বার্ড, এনআইএলজি, আরডিএ, বাপার্ড, বিয়াম ফাউন্ডেশন, এলএটিসি, বিআরডিটিআই সহ দেশের শীর্ষ স্থানীয় বহু প্রতিষ্ঠানে মাস্টার ট্রেইনার/রিসোর্স পারসন হিসেবে অধিবেশন পরিচালনা করেন। দেশের বাইরেও তিনি University of Minnesota, University of California, VrijeUniversitietBrussel, University of Boras, University of Leiden এবং University of Amsterdam -এ একাডেমিক অধিবেশন পরিচালনা করেন।
জনাব সফদারের একাডেমিক ও পেশাগত অর্জন, সমন্বিত পল্লী উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ হিসেবে তাঁর ব্যুৎপত্তি এবং সুশাসন, কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়ন, পরিবেশ সংরক্ষণ, ভূ ও জলদৃশ্য ব্যবস্থাপনা (Land & Waterscape Management) এবং পর্যটন ও আথিতেয়তা শিল্পে পেশাগত বিশেষায়ন তাঁকে সুপরিচিতি দিয়েছে।
সম্প্রতি তিনি বাংলাদেশ ভিত্তিক বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিষ্ঠান (Think Tank) – “Rural Thinkers” –এর সম্মানিক মহাসচিব (Honorary Secretary General) হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করেন। প্রতিষ্ঠানটি গ্রামীণ জনপদ ও জনজীবনের সুরক্ষা এবং নগর-বলয়ের প্রসারণ রোধের লক্ষ্যে নীতি প্রণয়ন, অনুশীলন, প্রয়োগ ও প্রচারের সাথে জড়িত বুদ্ধিবৃত্তিক মহলের প্রতিনিধিত্ব করছে।