১২:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইইউ কাউন্সিলের সভাপতির সঙ্গে মোদীর ফোনালাপ     

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৭ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কোস্টার সঙ্গে এক গঠনমূলক আলোচনা করেছেন। আলোচনার মূল লক্ষ্য ছিল ভারত-ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) কৌশলগত অংশীদারিত্ব শক্তিশালী করা এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বৈশ্বিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা।

কৌশলগত অংশীদারিত্ব জোরদার

প্রধানমন্ত্রী মোদী প্রেসিডেন্ট কোস্টাকে ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অভিনন্দন জানান। বিগত এক দশকে ভারত-ইইউ কৌশলগত অংশীদারিত্বে যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে, তা তুলে ধরে উভয় নেতা সম্পর্ক আরও গভীর করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

সহযোগিতার মূল ক্ষেত্রগুলো:

বাণিজ্য ও বিনিয়োগ: উভয় নেতা দ্রুত একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের ওপর জোর দেন। এটি বাণিজ্য বাধা দূর করতে, বিনিয়োগ বাড়াতে এবং উভয় পক্ষের অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে সহায়ক হবে।

প্রযুক্তি ও ডিজিটাল খাত: অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং ডিজিটাল অর্থনীতিতে সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়।

সবুজ জ্বালানি: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় টেকসই নবায়নযোগ্য শক্তি খাতে সহযোগিতা গভীর করার পরিকল্পনা করা হয়।

উভয় নেতা ২০২৫ সালের মধ্যে ভারতে অনুষ্ঠিতব্য ভারত-ইইউ সম্মেলনের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সম্মেলনের তারিখ শীঘ্রই নির্ধারণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। প্রেসিডেন্ট কোস্টা বলেন, “ভারত আমাদের অন্যতম প্রধান বৈশ্বিক অংশীদার। আমাদের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার এখনই সময়। আমি আসন্ন ভারত-ইইউ সম্মেলনের জন্য অপেক্ষায় রয়েছি।”

ভূরাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা

প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং প্রেসিডেন্ট কোস্টা আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক নিরাপত্তা বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন। উভয় নেতা আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন এবং সহযোগিতার মাধ্যমে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রস্তাব করেন।

প্রধানমন্ত্রী মোদী সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কোস্তার সঙ্গে কথা বলে আনন্দিত। ভারত ও ইইউ স্বাভাবিক অংশীদার। প্রযুক্তি, সবুজ জ্বালানি, ডিজিটাল খাত, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভারত-ইইউ কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

প্রেসিডেন্ট কোস্টা এক্স প্ল্যাটফর্মে লেখেন, “আমার দীর্ঘদিনের বন্ধু, প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে আবার কথা বলে আনন্দিত। আমরা ২০১৭ সাল থেকে একসঙ্গে কাজ করছি। আসন্ন ভারত-ইইউ সম্মেলনে একত্রে নতুন কৌশলগত এজেন্ডা গড়ে তুলব।”

নতুন সহযোগিতার দৃষ্টিভঙ্গি

ভারত-ইইউ সম্পর্ক গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই সম্পর্ক উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি লাভ করেছে।

প্রধান সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো:

নিরাপত্তা সহযোগিতা: সন্ত্রাস দমন এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা।

জলবায়ু কার্যক্রম: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় যৌথ প্রচেষ্টা।

মানুষে-মানুষে সম্পর্ক: শিক্ষাবিনিময়, পর্যটন এবং সাংস্কৃতিক সহযোগিতা।

প্রধানমন্ত্রী মোদী ও প্রেসিডেন্ট কোস্টার মধ্যে এই আলোচনা ভারত-ইইউ কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আসন্ন সম্মেলন উভয় পক্ষের জন্য অর্থনৈতিক এবং কৌশলগত সহযোগিতা গভীর করার নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে। সূত্র: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক।  

ট্যাগ:

ইইউ কাউন্সিলের সভাপতির সঙ্গে মোদীর ফোনালাপ     

প্রকাশ: ১১:৫৩:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৭ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কোস্টার সঙ্গে এক গঠনমূলক আলোচনা করেছেন। আলোচনার মূল লক্ষ্য ছিল ভারত-ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) কৌশলগত অংশীদারিত্ব শক্তিশালী করা এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বৈশ্বিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা।

কৌশলগত অংশীদারিত্ব জোরদার

প্রধানমন্ত্রী মোদী প্রেসিডেন্ট কোস্টাকে ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অভিনন্দন জানান। বিগত এক দশকে ভারত-ইইউ কৌশলগত অংশীদারিত্বে যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে, তা তুলে ধরে উভয় নেতা সম্পর্ক আরও গভীর করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

সহযোগিতার মূল ক্ষেত্রগুলো:

বাণিজ্য ও বিনিয়োগ: উভয় নেতা দ্রুত একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের ওপর জোর দেন। এটি বাণিজ্য বাধা দূর করতে, বিনিয়োগ বাড়াতে এবং উভয় পক্ষের অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে সহায়ক হবে।

প্রযুক্তি ও ডিজিটাল খাত: অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং ডিজিটাল অর্থনীতিতে সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়।

সবুজ জ্বালানি: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় টেকসই নবায়নযোগ্য শক্তি খাতে সহযোগিতা গভীর করার পরিকল্পনা করা হয়।

উভয় নেতা ২০২৫ সালের মধ্যে ভারতে অনুষ্ঠিতব্য ভারত-ইইউ সম্মেলনের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সম্মেলনের তারিখ শীঘ্রই নির্ধারণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। প্রেসিডেন্ট কোস্টা বলেন, “ভারত আমাদের অন্যতম প্রধান বৈশ্বিক অংশীদার। আমাদের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার এখনই সময়। আমি আসন্ন ভারত-ইইউ সম্মেলনের জন্য অপেক্ষায় রয়েছি।”

ভূরাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা

প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং প্রেসিডেন্ট কোস্টা আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক নিরাপত্তা বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন। উভয় নেতা আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন এবং সহযোগিতার মাধ্যমে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রস্তাব করেন।

প্রধানমন্ত্রী মোদী সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কোস্তার সঙ্গে কথা বলে আনন্দিত। ভারত ও ইইউ স্বাভাবিক অংশীদার। প্রযুক্তি, সবুজ জ্বালানি, ডিজিটাল খাত, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভারত-ইইউ কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

প্রেসিডেন্ট কোস্টা এক্স প্ল্যাটফর্মে লেখেন, “আমার দীর্ঘদিনের বন্ধু, প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে আবার কথা বলে আনন্দিত। আমরা ২০১৭ সাল থেকে একসঙ্গে কাজ করছি। আসন্ন ভারত-ইইউ সম্মেলনে একত্রে নতুন কৌশলগত এজেন্ডা গড়ে তুলব।”

নতুন সহযোগিতার দৃষ্টিভঙ্গি

ভারত-ইইউ সম্পর্ক গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই সম্পর্ক উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি লাভ করেছে।

প্রধান সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো:

নিরাপত্তা সহযোগিতা: সন্ত্রাস দমন এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা।

জলবায়ু কার্যক্রম: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় যৌথ প্রচেষ্টা।

মানুষে-মানুষে সম্পর্ক: শিক্ষাবিনিময়, পর্যটন এবং সাংস্কৃতিক সহযোগিতা।

প্রধানমন্ত্রী মোদী ও প্রেসিডেন্ট কোস্টার মধ্যে এই আলোচনা ভারত-ইইউ কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আসন্ন সম্মেলন উভয় পক্ষের জন্য অর্থনৈতিক এবং কৌশলগত সহযোগিতা গভীর করার নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে। সূত্র: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক।