১১:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নতুন গ্যাসকূপ, মিলবে ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস

জামালপুরের মাদারগঞ্জে গ্যাস অনুসন্ধানে কূপ খনন কাজ শুরু হয়েছে। নতুন কূপ থেকে গড়ে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার তারতাপাড়া গ্রামে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম কার্যক্রমটির উদ্বোধন করেন।

কর্মকর্তারা আশা করছেন, নতুন কূপ থেকে গড়ে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

গ্যাস পাওয়া যাবে ২৫ থেকে ৩০ বছর। উত্তোলন করা গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে।

বাপেক্স সূত্রে জানা গেছে, জামালপুর-১ অনুসন্ধান কূপ খনন প্রকল্পের আওতায় এই কূপটি খনন করা হচ্ছে। প্রায় ১৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে কূপ খননের কাজ শুরু হয়।

বাপেক্সের প্রকৌশলী ও শ্রমিকসহ ২২০ জন ব্যক্তি এই খননকাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।
এর আগে, ১২ জানুয়ারি কূপ খননের স্থানে ড্রিলিং রিগ স্থাপন করা হয়েছে। ৯০ দিন চলবে এই খননকাজ।

কূপের খনন উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান মো. রেজানুর রহমান, বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.শোয়েব, জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আফসানা তাসলিমা।

বাপেক্স কর্মকর্তারা জানান, বেশ কয়েকবার এই জায়গায় জরিপ করা হয়েছে। সেই তথ্য অনুযায়ী এই জায়গায় গ্যাস পাওয়া যাবে। এই গ্যাস সরিষাবাড়ী যমুনা সার কারখানাসহ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা হবে। দেশের অর্থনীতি ও শিল্পায়নকে আরও গতিশীল করতে বাড়তি গ্যাস প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে চাহিদা পূরণে দেশীয় জ্বালানি অনুসন্ধান ও উৎপাদনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে সরকার।

কূপটির ড্রিলিং ও রিগ ইনচার্জ মো. রকিবুল হাসান বলেন, ‘ড্রিলিং রিগ’ স্থাপন করা হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে খননকাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে কূপটি মাটির নিচে ২ হাজার ৮০০ মিটার পর্যন্ত খননের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কূপটির তিনটি জোনে প্রাকৃতিক গ্যাস মিলতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে। খনন শেষে প্রতিটি জোন থেকে প্রতিদিন গড়ে ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলনের আশা করা হচ্ছে। উত্তোলন করা গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে।

জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘গ্যাসের সংকট কমাতে আগামী দুই বছরে সারা দেশে ১০০টি নতুন গ্যাস কূপ খনন করা হবে। এছাড়াও পুরোনো ৩১টি গ্যাস কূপ সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

গ্যাস মজুদের জায়গার স্বল্পতা থাকায় বৃহৎ আকারে আমদানি সম্ভব হচ্ছে না বলেও জানান তিনি। তাই সরকার মজুদের জায়গা বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

তবে আগামী ৫ থেকে ১০ বছরে নতুন আবাসিক গ্যাস সংযোগ দেওয়া সম্ভব হবে না। আর যারা অর্থ দিয়েছেন তারা সেই অর্থ ফেরত নিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সাইফুল ইসলাম।

Translate

নতুন গ্যাসকূপ, মিলবে ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস

প্রকাশ: ০৮:৪৭:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫

জামালপুরের মাদারগঞ্জে গ্যাস অনুসন্ধানে কূপ খনন কাজ শুরু হয়েছে। নতুন কূপ থেকে গড়ে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার তারতাপাড়া গ্রামে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম কার্যক্রমটির উদ্বোধন করেন।

কর্মকর্তারা আশা করছেন, নতুন কূপ থেকে গড়ে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

গ্যাস পাওয়া যাবে ২৫ থেকে ৩০ বছর। উত্তোলন করা গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে।

বাপেক্স সূত্রে জানা গেছে, জামালপুর-১ অনুসন্ধান কূপ খনন প্রকল্পের আওতায় এই কূপটি খনন করা হচ্ছে। প্রায় ১৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে কূপ খননের কাজ শুরু হয়।

বাপেক্সের প্রকৌশলী ও শ্রমিকসহ ২২০ জন ব্যক্তি এই খননকাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।
এর আগে, ১২ জানুয়ারি কূপ খননের স্থানে ড্রিলিং রিগ স্থাপন করা হয়েছে। ৯০ দিন চলবে এই খননকাজ।

কূপের খনন উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান মো. রেজানুর রহমান, বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.শোয়েব, জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আফসানা তাসলিমা।

বাপেক্স কর্মকর্তারা জানান, বেশ কয়েকবার এই জায়গায় জরিপ করা হয়েছে। সেই তথ্য অনুযায়ী এই জায়গায় গ্যাস পাওয়া যাবে। এই গ্যাস সরিষাবাড়ী যমুনা সার কারখানাসহ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা হবে। দেশের অর্থনীতি ও শিল্পায়নকে আরও গতিশীল করতে বাড়তি গ্যাস প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে চাহিদা পূরণে দেশীয় জ্বালানি অনুসন্ধান ও উৎপাদনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে সরকার।

কূপটির ড্রিলিং ও রিগ ইনচার্জ মো. রকিবুল হাসান বলেন, ‘ড্রিলিং রিগ’ স্থাপন করা হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে খননকাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে কূপটি মাটির নিচে ২ হাজার ৮০০ মিটার পর্যন্ত খননের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কূপটির তিনটি জোনে প্রাকৃতিক গ্যাস মিলতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে। খনন শেষে প্রতিটি জোন থেকে প্রতিদিন গড়ে ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলনের আশা করা হচ্ছে। উত্তোলন করা গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে।

জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘গ্যাসের সংকট কমাতে আগামী দুই বছরে সারা দেশে ১০০টি নতুন গ্যাস কূপ খনন করা হবে। এছাড়াও পুরোনো ৩১টি গ্যাস কূপ সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

গ্যাস মজুদের জায়গার স্বল্পতা থাকায় বৃহৎ আকারে আমদানি সম্ভব হচ্ছে না বলেও জানান তিনি। তাই সরকার মজুদের জায়গা বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

তবে আগামী ৫ থেকে ১০ বছরে নতুন আবাসিক গ্যাস সংযোগ দেওয়া সম্ভব হবে না। আর যারা অর্থ দিয়েছেন তারা সেই অর্থ ফেরত নিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সাইফুল ইসলাম।