০৯:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘ইউপি মেম্বার’ পদের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব

‘ইউপি মেম্বার’ পদের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছে সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক ডায়লগ নেটওয়ার্ক (সিএসডিএন)।

২৭ ফেব্রুয়ারী (বৃহস্পতিবার) প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ফাহিম আহম্মেদ মন্ডল প্রেরিত এক প্রেসবার্তায় বলা হয়, “তৃণমূল পর্যায়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষেত্রে শিক্ষিত ও সামাজিক ধারা সম্পর্কে সচেতন জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ ও নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলতে ইউপি মেম্বার পদটির নাম পরিবর্তন জরুরি। এতে ‘মেম্বার’ পদের প্রতি শিক্ষিত তরুণদের যে অনীহা লক্ষ্য করা যায়, তা কিছুটা হলেও লাঘব হবে।”

‘ইউপি মেম্বার’ পদের নাম পরিবর্তন করে আরও মর্যাদাপূর্ণ ও আধুনিক করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে সিএসডিএন’র তরফে। পরিবর্ত হিসেবে ‘ইউপি সিনেটর’, ‘ইউপি কাউন্সিলর’, ‘ইউপি ট্রাস্টি’ বা ‘লোকাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটর’ এর মতো নাম ব্যবহারের সুপারিশ করেছে সংগঠনটি, যা জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা ও দায়িত্বকে আরও স্পষ্টভাবে তুলে ধরবে এবং শিক্ষিত ও যোগ্য প্রার্থীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করবে।

একই সঙ্গে ইউপি নির্বাচনসহ দেশের সকল পর্যায়ের প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচনে ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা ‘স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রী’ নির্ধারণের বিষয়েও লিখিত প্রেসবার্তায় বলা হয়েছে।

সিএসডিএন’র পক্ষ হতে বলা হয়, “চাকুরী পাওয়া একজন নাগরিকের সংবিধান সম্মত অধিকার। সংবিধানের তৃতীয় ভাগের ২৯ (১) ধারায় বলা আছে, প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ-লাভের ক্ষেত্রে সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা থাকিবে। তথাপি, সরকারী প্রতিষ্ঠানে একটি নবম গ্রেডের চাকুরী, কিংবা, ক্ষেত্র বিশেষে দ্বিতীয় শ্রেণীর চাকুরীর বিজ্ঞপ্তিতে ন্যূনতম স্নাতক, অধিকন্তু, স্নাতকোত্তর পাশের মানদণ্ড জুড়ে দেয়া হয়।”

এর সঙ্গে প্রেসবার্তায় যোগ করা হয়, “চাকুরী প্রদানে প্রার্থীর গুণগত মান নিশ্চায়নের ক্ষেত্রে যদি পূর্বোক্ত মানদণ্ড স্থাপন বাস্তবসম্মত হয়, তাহলে ‘স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯’র ৬ষ্ঠ অধ্যায়ের ২৬ নং ধারায় সংশোধনী এনে কিংবা এর সঙ্গে অতিরিক্ত যোগ্যতা যোগকরণ পূর্বক স্থানীয় পরিষদে জনপ্রতিনিধি পদে নির্বাচন করার ক্ষেত্রে ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা ‘স্নাতক’ নির্ধারণ করাটা বর্তমানে সময়ের দাবি।”

এছাড়া, প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের সক্ষমতা যাচাইয়ের জন্য দ্রুত কয়েকটি স্থানীয় নির্বাচন আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া উচিত। বর্তমান সরকারের সহযোগিতায় নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে এ ধরনের নির্বাচন হলে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতিও শক্তিশালী হবে বলে মত দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। পাশাপাশি ওয়ার্ড ভিত্তিক নাগরিক সুবিধা প্রণয়ন নিশ্চায়নের বিষয়েও প্রেসবার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে।

ট্যাগ:
Translate

‘ইউপি মেম্বার’ পদের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব

প্রকাশ: ০১:৫৭:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

‘ইউপি মেম্বার’ পদের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছে সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক ডায়লগ নেটওয়ার্ক (সিএসডিএন)।

২৭ ফেব্রুয়ারী (বৃহস্পতিবার) প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ফাহিম আহম্মেদ মন্ডল প্রেরিত এক প্রেসবার্তায় বলা হয়, “তৃণমূল পর্যায়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষেত্রে শিক্ষিত ও সামাজিক ধারা সম্পর্কে সচেতন জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ ও নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলতে ইউপি মেম্বার পদটির নাম পরিবর্তন জরুরি। এতে ‘মেম্বার’ পদের প্রতি শিক্ষিত তরুণদের যে অনীহা লক্ষ্য করা যায়, তা কিছুটা হলেও লাঘব হবে।”

‘ইউপি মেম্বার’ পদের নাম পরিবর্তন করে আরও মর্যাদাপূর্ণ ও আধুনিক করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে সিএসডিএন’র তরফে। পরিবর্ত হিসেবে ‘ইউপি সিনেটর’, ‘ইউপি কাউন্সিলর’, ‘ইউপি ট্রাস্টি’ বা ‘লোকাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটর’ এর মতো নাম ব্যবহারের সুপারিশ করেছে সংগঠনটি, যা জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা ও দায়িত্বকে আরও স্পষ্টভাবে তুলে ধরবে এবং শিক্ষিত ও যোগ্য প্রার্থীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করবে।

একই সঙ্গে ইউপি নির্বাচনসহ দেশের সকল পর্যায়ের প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচনে ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা ‘স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রী’ নির্ধারণের বিষয়েও লিখিত প্রেসবার্তায় বলা হয়েছে।

সিএসডিএন’র পক্ষ হতে বলা হয়, “চাকুরী পাওয়া একজন নাগরিকের সংবিধান সম্মত অধিকার। সংবিধানের তৃতীয় ভাগের ২৯ (১) ধারায় বলা আছে, প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ-লাভের ক্ষেত্রে সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা থাকিবে। তথাপি, সরকারী প্রতিষ্ঠানে একটি নবম গ্রেডের চাকুরী, কিংবা, ক্ষেত্র বিশেষে দ্বিতীয় শ্রেণীর চাকুরীর বিজ্ঞপ্তিতে ন্যূনতম স্নাতক, অধিকন্তু, স্নাতকোত্তর পাশের মানদণ্ড জুড়ে দেয়া হয়।”

এর সঙ্গে প্রেসবার্তায় যোগ করা হয়, “চাকুরী প্রদানে প্রার্থীর গুণগত মান নিশ্চায়নের ক্ষেত্রে যদি পূর্বোক্ত মানদণ্ড স্থাপন বাস্তবসম্মত হয়, তাহলে ‘স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯’র ৬ষ্ঠ অধ্যায়ের ২৬ নং ধারায় সংশোধনী এনে কিংবা এর সঙ্গে অতিরিক্ত যোগ্যতা যোগকরণ পূর্বক স্থানীয় পরিষদে জনপ্রতিনিধি পদে নির্বাচন করার ক্ষেত্রে ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা ‘স্নাতক’ নির্ধারণ করাটা বর্তমানে সময়ের দাবি।”

এছাড়া, প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের সক্ষমতা যাচাইয়ের জন্য দ্রুত কয়েকটি স্থানীয় নির্বাচন আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া উচিত। বর্তমান সরকারের সহযোগিতায় নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে এ ধরনের নির্বাচন হলে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতিও শক্তিশালী হবে বলে মত দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। পাশাপাশি ওয়ার্ড ভিত্তিক নাগরিক সুবিধা প্রণয়ন নিশ্চায়নের বিষয়েও প্রেসবার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে।